বর্ণালী প্রতিদিন ডেস্ক: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর হজের জন্য শুধু সৌদি আরবে বসবাসরত এক হাজার জনকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই হাজার জনের মধ্যে ৭০০ জনই সৌদিতে বসবাসকারী অন্যান্য দেশের নাগরিক। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবারের হজযাত্রীরা সাত দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করে মক্কায় অবস্থান করছেন। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে পবিত্র নগরী মক্কা। তাই এবারের হজ্জ যাত্রীদের জন্য সীমিত পরিসরে মক্কা নগরী খুলে দেয়া হয়েছে।
গত ২৫ জুলাই থেকে হজযাত্রীরা মক্কায় আসতে শুরু করেন। ওই দিন বিকেলে দেশটির আল কাসিম প্রদেশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে হজযাত্রীদের একটি দল জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। হজযাত্রীরা মক্কায় পৌঁছানোর পর, সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। হজ শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করবেন।
এবারের হজযাত্রীরা ১৯ জুলাই থেকে হোম কোয়োরেন্টিন পালন করছিলেন। হজপালনের জন্য মক্কায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা নির্দিষ্ট হোটেলে আরও চার দিনের কোয়ারেন্টিন পালন করবেন। হজ্জ পালনকারীদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য গৃহীত সতর্কতামূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করেন হজযাত্রী আল কাশিমে বসবাসকারী সুদানিজ মু’তাজ মোহাম্মেদ। সৌদিতে বসবাসরত বুলগেরিয়ান নাগরিক খাদিজা এবছর হজের অনুমতি পাওয়ার পর, কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, এ বছর অনুমতি মিলবে আশাই করিনি। আমার বিশ্বাস এ বছরের হজ সবদিক থেকেই ব্যতিক্রমী হবে।
হজযাত্রীরা ৮ জিলহজ বাদ ফজর রওনা হবেন মিনায়। মিনাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ জিলহজ পর্যন্ত মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন তারা। হজের সময় সাড়ে ৩ হাজার সদস্যের বিশাল একটি দল থাকবে মসজিদে হারামের তত্ত্বাবধানে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, সার্বিক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখাশোনা করা এবং অপবিত্রতা থেকে মসজিদে হারামকে রক্ষার জন্য এই দল গঠন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘণ্টা মসজিদে হারামে কর্মরত থাকবেন।