বর্ণালী প্রতিদিন ডেস্কঃ মাধ্যমিক পাস করে কিছুদিন আগে ভর্তি হয়েছেন উচ্চ মাধ্যমিকে। এই তরুণ বয়সেই পেয়ে গেছেন সফল কৃষকের তকমা। করোনার ভয়াবহতায় যখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সে সময়টা ফাজায়েল কাজে লাগিয়েছেন আলু চাষ করে ৷ আর এই আলু চাষই ভাগ্য পরিবর্তন করে দিচ্ছে ফাজায়েলের।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের চরজামাইল গ্রামের মরহুম গিয়াস উদ্দিনের ছোট ছেলে ফাজায়েল আলম। বাবা মারা গেছেন ১৫ বছর আগে। বাবার রেখে যাওয়া দেড় একর (১৫০ শতাংশ) জমিতে এস্টারিক জাতের আলু চাষ করেছেন। বয়সে তরুণ হলেও পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে সে আলু চাষ করে সফল হয়েছেন ৷
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ বিএডিসি পাকুন্দিয়া জোনের লোনের মাধ্যমে আলু বীজ সংগ্রহ করে রোপণ করেন। চর জামাইল গ্রামের অনেক আলুর জমি সব নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা প্রায় দিশেহারা। সে তুলনায় ফাজায়েল অনেকটাই সফল হয়েছেন আলু চাষে।
সে জানায়, চরাঞ্চলে বাড়ি হওয়াই কৃষির প্রতি আমার আগে থেকেই একটা টান রয়েছে৷ আশা করছি প্রায় দশ লাখ টাকার মত আলু বিক্রি করতে পারবো এই সিজনে। ভবিষ্যতে আরও বেশি পরিমাণে আলু চাষ করতে চাই।
ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ গ্রামের তরুণ ফাজায়েলের এ সফলতায় প্রশংসায় মেতে উঠেছে এলাকার অন্যান্য কৃষকরা। তারাও তার মত আলু চাষ করে বাম্পার ফলনে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছে।